পদ্মা সেতু: কুয়াকাটাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এখানে বছরজুড়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। এতদিন কুয়াকাটায় যেতে পর্যটকদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এ সমস্যার অবসান ঘটছে। এতে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে। ফলে কুয়াকাটাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।
এদিকে, কুয়াকাটায় বাড়তি পর্যটকদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছেন হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা। তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর পর্যটক কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সেজন্য হোটেলের কক্ষ, জনবল ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আগত কয়েকজন পর্যটক জানান, কুয়াকাটা ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও যাতায়াত ব্যবস্থা মূল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে সেই প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।
জল তরণী ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু কুয়াকাটায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এতে ইকোট্যুরিজমের প্রসার বাড়বে। সেইসঙ্গে বছরজুড়ে পর্যটক মুখর থাকবে কুয়াকাটা।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পর্যটক কুয়াকাটায় আসবেন। সেজন্য ট্যুর গাইডদের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। তদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি পাশাপাশি সৈকতকে আরও সুন্দর করার চেষ্টাও চলছে।
সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখন নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটক পাই। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে পর্যটক কয়েকগুণ বাড়বে। সেজন্য হোটেলের রুম, জনবল, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। যাতে সেবার মান আগের চেয়ে আরও ভালো করা যায়।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, সেতু চালু হলে কুয়াকাটায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ঢাকা-কুয়াকাটার ১০-১২ ঘণ্টার পথ ৫-৬ ঘণ্টায় নেবে আসবে। এ কারণে বর্তমানের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কুয়াকাটায় ১৫ হাজার পর্যটকের রাত্রীযাপনের সক্ষমতা রয়েছে। সেতু চালুর পর এ সংখ্যা কয়েকগুণ হবে। ফলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ফাইভস্টার-থ্রিস্টার মানের হোটেল তৈরির কাজ শুরু করেছে।
এমআরআর/এএইচ/এএসএম