সিরাজগঞ্জে নদীগর্ভে মসজিদসহ ৩৫ বসতভিটা
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী-তীরবর্তী এলাকা ভাঙতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঐতিহ্যবাহী তারকা মসজিদের অর্ধেকসহ অন্তত ৩৫টি বসতভিটা।
সোমবার (১৩) সকালে সিরাজগঞ্জের নদীবিধৌত চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর ব্রাহ্মণগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক তারকা মসজিদটির প্রায় অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।
তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সময় যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে হঠাৎ করে যমুনা নদীতে স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়। দেখতে দেখতে নদীপাড়ের শুরু হয় ভাঙন। দুপুরের দিকে বিলীন হয়ে যায় তারকা জামে মসজিদের পূর্বাংশের প্রধান ফটক, বারান্দাসহ অর্ধেকের বেশি।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মসজিদের পাশে প্রায় ৪৫ মিটার এলাকায় ভাঙন চলছিল।
মসজিদের ইমাম হাফেজ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ফজরের নামাজ পড়েছি। হঠাৎ করে ভোরবেলা থেকে ভাঙন শুরু হয়। দুপুরের দিকে অর্ধেকের বেশি বিলীন হয়ে যায় এলাকার ঐতিহ্যবাহী তারকা জামে মসজিদটি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো মসজিদটি নদীগর্ভে চলে যাবে।’
খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া বলেন, ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত নদীর তীর সংরক্ষণে ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে। তারপরও ভাঙন দেখা দিয়েছে। কাজের অগ্রগতি ও সঠিক তদারকির অভাবেই বারবার নদীপাড় ভাঙছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন রোধে বিভিন্ন স্থানে আমাদের কাজ চলছে। পাশাপাশি যেসব জায়গায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছিল কিন্তু ধসে গেছে, সেসব জায়গা মেরামতে কাজ চলছে।
এসআর/এমএস