ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পঞ্চম মেয়াদে অতিরিক্ত ব্যয় ২৮ কোটি

জেলা প্রতিনিধি | নড়াইল | প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৩ জুন ২০২২

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর হেলে যাওয়া ৯নং পিলারের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯নং পিলার বাদ দিয়ে ৮ থেকে ১০নং পিলারের মধ্যে ঢালাই না দিয়ে স্টিলের স্প্যান বসানো হবে। এছাড়া পরবর্তীতে যাতে কোনো নৌযানে পিলার আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য প্রতিটা পিলারের চারদিকে স্টিলের বেষ্টনি দিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এসব কারণে অতিরিক্ত ২৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

৪র্থ দফার মেয়াদ শেষে সেতুর কাজের অগ্রগতি ৬২ ভাগ। ৫ম মেয়াদে ২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সেতুটি নির্মিত না হওয়ার জন্য জনপ্রনিধিসহ স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-কালিয়া সড়কে নোয়াকগ্রাম ইউনিয়নের বারইপাড়া ও কালিয়া পৌরসভার পাঁচ কাউনিয়া অংশে নবগঙ্গা নদীর ওপর ৬৫১.৮৩ মিটার লম্বা, ১০.২৫ মিটার প্রস্থ, ১৬টি পিলার ও ১৫টি স্প্যানের এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৭২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এমডি জামিল ইকবাল অ্যান্ড মো. মইনুদ্দীন বাশি জেভি ফার্ম ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ সেতুর কার্যাদেশ পায় এবং ২০১৯ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু করতে দেরি এবং ধীর গতির কারণে কাজটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

এরই মাঝে ২০২০ সালের ২০ জুন বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে অবস্থিত ৯ নম্বর পিলারটি এবং ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একই পিলার আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হেলে যায়। এছাড়া নির্মাণাধীন আরও কয়েকটি পিলার আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসব ঘটনায় কালিয়া থানায় ৬টি জিডি ও মামলা হয়েছে।

কালিয়া সেতু নির্মাণ কাজের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে বিভিন্ন কারণে দেরি হয়েছে। তবে এখন প্রায় ৫০-৬০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বর্তমানে পিলারের ওপর গার্ডার ও স্লাব বসানো এবং দু’পাশে সংযোগ সড়কের কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে আমাদের অংশের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। তবে হেলে যাওয়া ৯ নম্বর পিলারের নতুন নকশার বিষয়ে কিছু জানি না। এ পর্যন্ত মূল কাজ ও সংযোগ সড়ক মিলে ৬২ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।

পঞ্চম মেয়াদে অতিরিক্ত ব্যয় ২৮ কোটি

নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ৯ নম্বর পিলার বার বার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় এটি না রেখে ৮ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর একটি স্টিলের স্প্যান বসবে। এজন্য ২৮ কোটি বাড়তি ব্যয় হবে। সাধারণত এ ধরনের স্টিলের স্প্যান বিদেশ থেকে আনতে হয়। এর জন্য ন্যাশনাল টেন্ডার দিতে হবে। টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হতে আগামী ৩ মাস লাগতে পারে।

এছাড়া সেতুর অন্যান্য পিলার যাতে পরবর্তীতে বাল্কহেড বা অন্য নৌযান দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য আধুনিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। এসব কাজ শেষ করতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি জাগো নিউজকে বলেন, আমি এ সেতু নিয়ে হতাশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট অফিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার বার কথা বলেছি দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার জন্য। দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করলে লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত হবে।

জেলা শহর থেকে কালিয়া শহরের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। কিন্তু এ পথ যেতে সময় লাগে দু’ঘণ্টা। নবগঙ্গা নদী কালিয়া উপজেলাকে জেলার অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সেতটিু চালু হলে নড়াইল-যশোরের সঙ্গে গোপালগঞ্জ, বরিশাল এবং বাগেরহাট জেলার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

হাফিজুল নিলু/এফএ/জেআইএম