ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শেরপুরে নামছে ঢলের পানি, রাস্তাঘাট ভেঙে ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ১১ জুন ২০২২

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে ঢলের পানি নামতে থাকায় দৃশ্যমান হচ্ছে রেখে যাওয়া ক্ষত চিহৃ। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট ভেঙে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটছে। বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ।

শনিবার (১১ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ৮ জুন থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এতে ঝিনাইগাতী উপজেলার চার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েকশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

ঝিনাইগাতী সদর বাজার, হাইওয়ে সড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অফিস পাড়াগুলো তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। সরকারি দপ্তরগুলোতে কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।

শেরপুরে নামছে ঢলের পানি, রাস্তাঘাট ভেঙে ভোগান্তি

ঢলের পানির তোড়ে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর বিভিন্ন জায়গায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙে গেছে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আহম্মেদনগর-দীঘিরপাড় সড়ক, গুরুচরণ দুধনই-পানবর সড়ক ও রামেরকুড়া সড়কসহ বেশ কয়েক জায়গায় সড়ক ভেঙে ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের ফলে মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ ঝিনাইগাতী বাজার ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এতে পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই পাহাড়ি ঢলের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য মহারশি নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই।

শেরপুরে নামছে ঢলের পানি, রাস্তাঘাট ভেঙে ভোগান্তি

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক জাগো নিউজকে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে এলজিইডির ভাঙনকবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে কাজ শুরু হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হওয়ার পথে। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পাওয়া ১০ টন জিআরের চাল সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিতরণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের উপ-বরাদ্দ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইমরান হাসান রাব্বী/এসজে/জেআইএম