কুড়িগ্রামে ২ কসাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুই কসাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
মৃতদের মধ্যে একজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (১১ জুন) সকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আরেকজনের মরদেহ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনরা দাফন করলেও শনিবার পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে।
মৃতরা হলেন উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ছাটগোপালপুর গ্রামের মৃত সফি উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫) ও একই গ্রামের ঘাতু মণ্ডলের ছেলে শাহজামাল (৫০)। অসুস্থ ব্যক্তি তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩২)। তিনজনই পেশায় কসাই। তারা পাগলাহাট বাজারে মাংস বিক্রি করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর শুক্রবার (১০ জুন) পাগলাহাট বাজারে রাত ৮টার দিকে তার বন্ধু এরশাদকে নিয়ে মদপান করেন। অতিরিক্ত মদপানের একপর্যায়ে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিজানুরকে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রামে নেওয়ার পথে রাত ১২টার দিকে মারা যান। এরশাদ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ভোরে একই গ্রামের শাহজামাল (৫০) মদপানে অসুস্থ হয়ে মারা যান। একইদিন দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে স্বজনরা তার মরদেহ দাফন করেন।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের লোকজন মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন অতিরিক্ত মদপানেই তার মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর আগে যে মারা গেছে তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী জাগো নিউজকে বলেন, মদপানে মিজানুর রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ না পেলেও বৃহস্পতিবার আরেকজনের মৃত্যুর খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। মৃত দুজনই মাদকসেবী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মাসুদ রানা/এসজে/এএসএম