ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা

প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট নগরীর উপ-শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ। চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মাহমুদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।

সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী গ্রুপের নেতা। এই হামলার পরপরই প্রতিবাদে রোববার বেলা আড়াইটায় শাহজালাল উপ-শহর-শিবগঞ্জ ও উপশহর-মেন্দিবাগ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।  

চাঁদাবাজি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে আটক করা হবে-মহানগর পুলিশের এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা উপ-শহর সড়ক থেকে বিকেল ৪টায় অবরোধ তুলে নিয়েছে।

জানা যায়, বেলা ২টার দিকে উপ-শহর বি-ব্লক মসজিদ মার্কেটের আল বারাকা টেলিকমে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীরা।

শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, হামলার খবর পেয়ে জাকারিয়া মাহমুদকে আটক করতে পুলিশ শিবগঞ্জ সোনারপাড়া এলাকার বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মাহমুদ প্রায়ই ওই এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করেন। এর আগেও চাঁদা না দেয়ায় উপ-শহর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ভাঙচুর করেন জাকারিয়া। চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সে সময় পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন উপ-শহরের ব্যবসায়ীরা।

হামলার শিকার আল-বারাকা টেলিকমের সত্বাধিকারী জাকির আহমদ জানান, কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মাহমুদ তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রোববার সকালে এসে আবারো সে চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা না পেয়ে বেলা ২টার দিকে দলবল নিয়ে জাকারিয়া ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নিয়ে তার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা পাঁচ ঘন্টার মধ্যে জাকারিয়া মাহমুদকে আটকের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা অবরোধ তুলে নেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, চাঁদাবাজরা যে দলেরই হোক তাকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি