কিশোরীর সঙ্গে কথা বলায় দুই বরযাত্রীর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় সালিশে দুই তরুণের মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা মাখানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরমহিউদ্দিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আবু সায়েম গাজী চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।
ভুক্তভোগী এক তরুণের বাবা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে চরবাংলা গ্রামের অহিদুল মৃধার বিয়ে ছিল। বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে তার ছেলে চরবাংলা থেকে চরমহিউদ্দিন গ্রামের নুরু সর্দারের বাড়িতে যান। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে পাশের বাড়ির এক কিশোরীর সঙ্গে তার ছেলে ও আরেক তরুণ কথা বলেন। এসময় ওই কিশোরীর ভাই বিষয়টি দেখে তাদের দুজনকে মারধর করেন।
একপর্যায়ে ইউপি সদস্য আবু সায়েম গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সালিশ বসিয়ে ওই দুই তরুণকে ফের মারধর করেন। পরে নিজ হাতে খুর দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা লাগিয়ে দেন। অপমান সইতে না পেরে ওই দুই তরুণ একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার এক তরুণ বলেন, আমরা কোনো অপরাধ করিনি। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবো।
চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান সর্দার বলেন, পোলাপান অপরাধ করলে তার বিচার করার সুযোগ আছে। অভিভাবকদের ডেকে কথা বলা যেত, কিন্তু এই আধুনিক সমাজে এভাবে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা দেওয়ার ঘটনা অমানবিক। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু সায়েম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কোনো সালিশ হয়নি এবং আমি কারও মাথা ন্যাড়া করিনি। আর যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে তার ভিডিও ফুটেজ কোথায়?
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এমআরআর/এএসএম