চাঁদপুরে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-কচুয়া আঞ্চলিক সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সঞ্জিত শীল (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (৬ জুন) বিকেলে কচুয়া উপজেলার কালচোঁ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সঞ্জিত শীল উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের পশ্চিম শীল বাড়ির স্বপন শীলের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার আকানিয়া গ্রামের আব্দুল মমিনের স্ত্রী তুহিন বেগম (৩৬), ধড্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শাহআলম (২৫) ও শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে অটোরিকশাচালক জহির (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা কচুয়াগামী অটোরিকশাটি কালচোঁ মসজিদ এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার মুহূর্তে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ মাইক্রোবাসটি জব্দ করে।
দুর্ঘটনার পর চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জিত শীলকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সঞ্জিত ডুমুরিয়া বাজারে স্টুডিও এবং কসমেটিকস ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সঞ্জিতের স্ত্রী, কন্যাসহ নিকটাত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সঞ্জিতের স্ত্রী পলি রাণী শীল বলেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুতে আমার দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে? তাদের কীভাবে মানুষ করবো, কীভাবে আমরা জীবনযাপন করবো তা এখন পুরোই অনিশ্চিত।’
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নজরুল ইসলাম আতিক/এসআর/এএসএম