বিএনপি থেকে সাক্কুর পদত্যাগ
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর আগে তিনি টানা দুবার কুসিক মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরীর বাসায় সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী মো. কবির হোসেন মজুমদার তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি জমা দেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কবির হোসেন মজুমদার জাগো নিউজকে সাক্কুর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রটি আমি নিজেই রাবেয়া চৌধুরীর হাতে পৌঁছে দিয়েছি।
কবির হোসেন মজুমদার আরও বলেন, পদত্যাগপত্রের একটি অনুলিপি বিএনপি মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর পোঁছানো হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সাক্কু ধানের শীষ প্রতীকে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীক নিয়ে সীমা পান ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
এর আগে ২০১২ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনে সাক্কু ৬৫ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা প্রয়াত অধ্যক্ষ আফজাল খান পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৪৭১ ভোট।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কুসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ছয় মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৫৪ জনকে বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চলে এই মনোনয়ন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম।
এতে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজাল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (স্বতন্ত্র), নিজাম উদ্দিন কায়সার (স্বতন্ত্র), ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির কামরুল আহসান বাবুল (স্বতন্ত্র)।
আগামী ২০, ২১ ও ২২ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আপিল গ্রহণ করা হবে। ২৩ মে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ১৫ জুন কুসিক নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ ও নারী ১ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমআরআর/জিকেএস