কুমিল্লায় পেট্রলবোমায় নিহত বাবা-মেয়ের মরদেহ উত্তোলন
কুমিল্লায় বিএনপি জামায়াতের হরতালে পেট্রলবোমায় নিহত যশোরের নুরুজ্জামান পপলু ও তার মেয়ে স্কুল ছাত্রী মাইশা তাসনিমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শহরের ঘোপ কবরস্থান থেকে তাদের দু’জনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এরপর তা ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম জাগো নিউজকে জানান, কুমিল্লা আদালতের নির্দেশে যশোর ঘোপ কবরস্থান থেকে নুরুজ্জামান পপলু ও মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। তিন সদস্যের মেডিকেল টিম যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মৃতদেহ দু’টির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে যশোর শহরের ঘোপ কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক হোসাইন সাফায়েত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ ইব্রাহীম।
পপলু ও মাইশার মরদেহ সনাক্ত করেন পপলুর ভাই কামরুজ্জামান ডাবলু। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাদের মরদেহ উত্তোলন করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক হোসাইন সাফায়েত জাগো নিউজকে জানান, তিনিসহ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মাশফিকুর রহমান ও আব্দুর রশিদ মৃতদেহ দু`টির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় যশোরের ঠিকাদার জেলা শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা নুরুজ্জামান পাপলু ও তার মেয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তাসনিমসহ আটজন নিহত হন। তাদের মধ্যে সাতজনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। কিন্তু এরপর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আমলি আদালত-৫ এর বিচারক মুনতাসির আহমেদ তাদের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার পপলু ও মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হলো।
মিলন রহমান/এমজেড/পিআর