কক্সবাজারে বন্ধুদের সঙ্গে মদপান, তরুণীর মৃত্যু
কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা লাবণী আকতার (১৯) নামের এক তরুণী চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
পুলিশ ও চিকিৎসকের ভাষ্য, অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার (১৮ মে) দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তরুণীর সঙ্গে আসা চার বন্ধুর মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ রহমান নিলু (২১)।
লাবণী আকতার বরগুনার বাসিন্দা মনির হোসেনের মেয়ে। তার পরিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, গত ১১ মে চার বন্ধুসহ ওই তরুণী কক্সবাজারে আসেন। তারা কলাতলীর বিচ হলি ডে নামের একটি আবাসিক হোটেল অবস্থান নেন। সেখানে ১৪ মে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ মে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়।
‘চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দুপুর ১টার দিকে তরুণী মারা যান। এরই মধ্যে মেয়েটির বাবাসহ অভিভাবকরা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি আরও জানান, তরুণীর সঙ্গে আসা চারজনের মধ্যে দুজন স্বীকার করেন তারা অতিরিক্ত মদপান করেছিলেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য দুজন পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘চারদিন আগে পেটব্যথা নিয়ে এক তরুণীকে হাসপাতালে আনা হয়। সঙ্গীদের স্বীকারোক্তি মতে অ্যালকোহল সেবনে এমন হয়েছে জানতে পেরে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা সেদিনই ফিরে যান। পরদিন আবারও আসেন আগের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে। তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় তার লিভার, ফুসফুস খুবই গভীরভাবে আক্রান্ত। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার পরও অবস্থার উন্নতি না দেখে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে বুধবার দুপুরের পর মারা যান ওই তরুণী।’
আরএমও আরও বলেন, ‘আমার মেডিকেল টিমের মতে এক ধরনের মাদক নয়, কয়েক ধরনের মাদক একত্রিত করে (ককটেল হিসেবে উল্লেখিত) সেবন করেছেন ওই তরুণী। অনভ্যস্ত হওয়ায় তার ক্ষতি হয়েছে বেশি।’
সদর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন জানান, তরুণীর সঙ্গে আসা আটক দুজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জেআইএম