ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্বামী-সন্তানের সামনেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো আ.লীগ নেতার ভাই

প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে স্বামী সন্তানের সামনেই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছোট ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে বুধবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে উক্ত ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হিন্দু মহাজোট জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন। তিনি অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার পূর্বকদৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ ঘটনায় বানিয়াচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের রতিশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রীকে বেশ কিছু দিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের মনু মিয়া। কিন্তু, লোক লজ্জার ভয়ে তিনি কখনও বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেননি। গত ১৪ জানুয়ারি স্বামী ও সন্তান মেলায় চলে যান। এ সুযোগে মনু ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি তিনি স্বামীকে অবহিত করলে তিনি স্থানীয় মুরুব্বীদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। ১৬ জানুয়ারি সালিশে মনু নিজের অপরাধ স্বীকার করায় তাকে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরদিন সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি তার ভাই উস্তার মিয়া জোরপূর্বক তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওইদিনই মধ্যরাতে মনুসহ ২/৩ জন আবারও তার বাড়িতে যায়। সিঁধ খুড়ে ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে তার স্বামীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে স্বামী সন্তানের সামনেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মনু। এসময় তিনি চিৎকার করে কাঁদতে থাকলে তারা পালিয়ে যায়।

আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। উক্ত ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মনু মিয়া ও তার ভাই উক্তার মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, মনু স্থানীয় মন্দরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিস মিয়ার ছোট ভাই।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমএএস/আরআইপি