যুবককে হত্যার পর মরদেহে আগুন: ৩৮ আসামির আত্মসমর্পণ
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার তিন মামলায় আদালতে এজাহারনামীয় ১ জন ও ৩৭ আসামি আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।
বুধবার (১১মে) বিকেলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের মসজিদের ভেতরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা মামলায় ৩৭ জন ও হাজতি একজনসহ মোট ৩৮ আসামিকে জেলহাজতে পাঠান সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত-৩ এর বিচারক মো. জয়নাল আবেদীন।
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যান আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েল। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু রুবাইয়াত সুমন। তারা মসজিদে কোরআন অবমাননা করেছেন এমন অভিযোগ পেয়ে সেখানে যায় স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন। তাদের উপস্থিতিতেই বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতর প্রবেশ করে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে জুয়েলের মরদেহ টেনেহিঁচড়ে বুড়িমারী বাজারের বাঁশকল মোড়ে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে জুয়েলকে হত্যার ঘটনায় করা তিন মামলায় এজাহারনামীয় ১১৪ আসামির মধ্যে ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের মধ্যে বর্তমানে ৯ আসামি জেলহাজতে রয়েছেন। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালতে জামিন পান।
এ ঘটনায় শহীদুন্নবীর জুয়েলের ভাই বড় সাইফুল আলম ৪৩ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাটগ্রাম পুলিশের এসআই শাহজাহান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন ৪৯ জনের নাম ও অজ্ঞাত কয়েকশ জনের বিরুদ্ধে।
এদিকে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মো. শাহ নেওয়াজ নিশাত। এ মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয় শত শত ব্যক্তিকে।
রবিউল হাসান/এফএ/এএসএম