কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারক কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও রাজিব আল জলিলের বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়া হয়। এতে তার দায়িত্ব পালনে আইনগতভাবে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে ২৫২/২০১৬ রিট পিটিশন দায়ের করেন জিএম রহিমুল্লাহ। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও রিদুয়ানুল করিম।
গত ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১১ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩ খ (১) ধারা অনুসারে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদ থেকে জিএম রহিমুল্লাহকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ বহিষ্কারের তথ্য প্রচারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান হতে জোর লবিং শুরু করেন জামায়াত-বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্প্রতি আওয়ামী সমবায় লীগে যোগদানকারী হেলেনাজ তাহেরা।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি পরিষদের ব্যানারে শহরে ত্রিমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহতসহ আহত হয় শতাধিক।
সংঘটিত ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ৩৪, ৩৬, ০১ ও ৩১ নাম্বার মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর মামলাগুলোর চার্জশিট দেয় পুলিশ।
ওইসব মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন জিএম রহিমুল্লাহ। ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় জামায়াতের এই নেতাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সায়ীদ আলমগীর/বিএ