দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি
দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকট ও দৌলতদিয়ায় ঘাট সংকটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকেও ফেরির নাগাল পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জানা যায়, দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় ৪ কিলোমিটার ও ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ের প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে কিছু যাত্রীবাহী পরিবহনও রয়েছে।
আরও জানা গেছে, বর্তমানে এই রুটে ১৯টি ফেরির স্থানে চলাচল করছে ১৭টি। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের চারটি ফেরি ঘাটের তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় সকাল ১০টার দিকে ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ রেখে কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। দুপুর ১২টার দিকে সেটি চালু হয়। পরবর্তীতে ৩ নম্বর ঘাট বন্ধ করে উঁচু করার কাজ শুরু করা হয়। যার কারণে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের সারি তৈরি হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া ঘাটে আলমগীর হোসেন, আরিফুর রহমানসহ কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছেন। ঘাটে কাজ চলার কারণে এরকম হচ্ছে বলে শুনেছেন। তারা বলছেন, ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে। এখন এরকম হলে, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কী অবস্থা হবে। কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার সহকারী ঘাট ব্যবস্থাপক আলিম দাইয়ান জানান, এ নৌরুটে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট সচল আছে তিনটি । যে কারণে যানবাহনের কিছু সিরিয়াল আছে।
রুবেলুর রহমান/এমআরআর/এমএস