কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শেরপুরের নকলায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবুল তিলক দাস নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে অপহরণের দায়ে আসামির ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায় দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত বাবুল তিলক দাস পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী উপজেলার নয়নবাড়ী এলাকার পরেশ তিলক দাসের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নকলা উপজেলার হাজী জালমামুদ কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ফুসলিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বাবুল তিলক দাস। ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট কলেজে যাওয়ার পথে তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করেন। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুল তিলক দাসকে আসামি করে নকলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলার পরদিন আসামি বাবুল তিলককে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরঞ্জন দাস।
২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাবুল তিলক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করাসহ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভিকটিম, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত। আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/জেআইএম