নান্দনিক শিল্পকর্মে নির্মিত ফেনীর জহিরিয়া মসজিদ
ফেনীর জহিরিয়া মসজিদ। নান্দনিক শিল্পকর্মে নির্মিত হয়েছে এটি। দেওয়ালে ব্যতিক্রমী কারুকার্য মুগ্ধ করে যে কাউকে। শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদে প্রত্যেক ওয়াক্তে দুই হাজারের বেশি মুসল্লির সমাগম ঘটে। দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে এ আসেন শত শত মুসল্লিরা।
রমজানে নিয়মিত ইফতার আয়োজনের কারণে মসজিদটি আরও বেশি সরব হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ ইফতারে অংশ নেন এখানে। ইফতারসহ নানা কার্যক্রমে নিয়মিত ১৫ জন খাদেম মসজিদে কাজ করেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৪০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মরহুম জহির উদ্দিনের দানকরা ভূমিতে গড়ে ওঠে জহিরিয়া মসজিদ। পরে ২০০৬ সালে পুরাতন মসজিদটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে পরিচালনা কমিটি। বর্তমানে মসজিদটির তৃতীয় তলা পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম তলার কাজ চলছে। জুমাসহ বিশেষ এবাদতের দিন হাজারো মানুষের পদভারে মুখরিত হয় মসজিদ । মসজিদ পূর্ণ হয়ে সামনের সড়কে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
আরিফ আজম এ মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি। তিনি বলেন, জেলার সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ এটি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় মসজিদও এটি। দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জানান, মাত্র ছয় লাখ টাকা নিয়ে মসজিদটি পুননির্মাণের কাজ শুরু করি। বিদেশি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই এখন পর্যন্ত আট কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে। মসজিদের পাশেই বড় পরিসরে নির্মাণাধীন জহিরিয়া টাওয়ারে মাদরাসা ও এতিমখানা চালু হবে। এছাড়া লাইব্রেরি, ট্রেনিং সেন্টার, বয়স্ক কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমসহ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আধুনিক ও সময়োপযোগী কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এ বিষয়ে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইলিয়াছ জানান, চট্টগ্রামের বারৈয়ার হাট, নোয়াখালীর সেনবাগ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা থেকেও মানুষ এ মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন। মসজিদে নববীর আদলে সকালে মক্তব, নুরানি শিক্ষা, জোহরের নামাজের পর কোরআনের তাফসির, এশার নামাজ শেষে বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরএইচ/জিকেএস