বৈসাবি উৎসবে বান্দরবানের মার্কেটে জমেছে বেচাকেনা
পাহাড়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। নতুন পোশাক আর নিত্যপ্রয়োজনীয় পছন্দের জিনিস কিনতে স্থানীয় মার্কেটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। দোকানিরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর জাকজমকভাবে উদযাপন হয়নি বৈসাবি উৎসব। এজন্য বেচাকেনাও ছিল দোকানিদের। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় চলতি বছর ব্যাপক আয়োজনে চলছে বৈসাবি উদযাপন।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাকালীন দুই বছর তেমন বেচাকেনা না হলেও এবার সবমিলিয়ে ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। তাই আগের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দোকানিরা।
তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী মো. হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত দুই বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ব্যবসা হচ্ছে। ক্ষতি পুষিয়ে আশার আলো দেখতে পাববো বলে আশা করছি।’
পাহাড়ি পোশাক ব্যবসায়ী নুমেচিং মারমা জানান, বছরজুড়ে ব্যবসা হলেও সাংগ্রাই উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকেন তারা। গত দুই বছরের তুলনায় এবার আশানুরূপ ব্যবসা হচ্ছে।
মাহা সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদ বান্দরবানের সভাপতি থেওয়াং (হ্লাএমং) জানান, পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে মারমা সম্প্রদায়ের চার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল সকালে মিনি ম্যারাথন দৌড়, বিকেলে পবিত্র বুদ্ধ মূর্তি স্নান, রাতব্যাপী পিঠা তৈরি উৎসব, ১৫ এপ্রিল বিকেলে উজানীপাড়া সাঙ্গু নদীর চরে সামাজিক অনুষ্ঠান মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি), ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা ও সবশেষে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জাগো নিউজকে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের আয়োজন আরও জমজমাট হবে। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জিকেএস