টাকা দিতে না পারলেও পেয়েছেন ছেলের লাশ
“আমার ছেলে ফোন করে বলেছিল, মা কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিলে ব্যবসার কাজে লাগিয়ে উন্নত করবো। ছেলেকে টাকা দেয়ার আগে পেলাম ছেলেসহ পাঁচজনের লাশ।” -কান্না জড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারে নিহত পাঁচজনের মধ্যে মোরশেদুল ইসলামের মা মোর্শেদা বেগম।
মোর্শেদা বেগমকে জানান, তার নানির কাছ থেকে যেন এক লাখ টাকার ব্যবস্থা করে নিয়ে আসেন। টাকার ব্যবস্থা করতে দেরি হওয়ায় টাকা দিতে আসতে না পারলেও এসেছে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে। নিহত মোরশেদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ শহরে কাটা কাপড়ের ব্যবসা করতেন। শুক্রবার ছেলে মোরশেদুল ইসলামের সঙ্গে শেষ কথা হয় মোর্শেদার।
মোর্শেদা আরো জানান, তার মেয়ে তাসলিমাসহ তাসলিমার জা লামিয়া ও তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড়ের আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের আশোক ভিলার ছয়তলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্লাট বাড়িতে একই পরিবারের পাঁচজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তাসলিমার জা লামিয়া (২৫)।
তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরভেলাবাড়ি। তারা শহরের বাবুরাইল ২নং এলাকার খানকামোড় এলাকার আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইলের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ