করচার হাওরে বাঁধে ফাটল: হুমকিতে বোরো ধান
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র দশমিক তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ৬.০৩ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওরে বাঁধের নিচে ফাটল ধরে হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে ২৫ হাজার হেক্টর বোরো ধান। পানি আটকাতে হাওরে স্বেচ্ছায় ২শ শতাধিক কৃষক কাজ করছেন।
কৃষকরা জানান, হাওরের বাঁধগুলো খুব ঝুঁকির মধ্যে আছে। যদি হাওর তলিয়ে যায় তাহলে হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের কোনো পথ থাকবে না।
স্থানীয় কৃষক জমির মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সারারাত আমরা শত শত কৃষক বাঁধের ওপর বসে ছিলাম, হাওরে যাতে পানি না ঢুকতে পরে। সকালে বাঁধের নিচে ফাটল ধরে হাওরে পানি ঢুকতে থাকে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ জন কৃষক স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে হাওরে পানি ঢোকা বন্ধ করেছেন।
স্থানীয় কৃষক রমজান মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ধান গেলে এইবার মরে যাবো। কারণ অনেক কষ্ট করে এই বছর বোরো ধানটা করতে হয়েছে। হাওরে পানি ঢুকছে দেখে প্রায় ১ ঘণ্টা নদীর পানিতে থেকে হাওর বাঁচাতে স্বেচ্ছায় কাজ করেছি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সারাক্ষণ মাঠে থেকে হাওরের ধান বাঁচাতে চেষ্টা করছি। সকালে করচার হাওররক্ষা বাঁধের নিচ দিয়ে কিছুটা পানি ঢুকলে আমরা তাৎক্ষণিক সেটা বালুর বস্তা ফেলে বন্ধ করে দিই। আমাদের সঙ্গে প্রায় ২শ শতাধিক কৃষক স্বেচ্ছায় কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর ৫৩০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মিতি হয়েছে। শুধুমাত্র পানি উন্নয়ন বোর্ডের একার পক্ষে এই বাঁধ টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন বিষয়। সেজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সকল মসজিদের ঈমামদের বলা হয়েছে তারা যেন মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করে।
এফএ/এএসএম