ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে ভুট্টার চাষ

প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

লাভজনক হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বেড়েই চলছে ভুট্টা চাষ। মাটি ও আবহাওয়া ভুট্টা চাষে উপযোগী এবং স্বল্প খরচে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় ইতোমধ্যে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ।

দিন দিন ভুট্টা চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তা পূরণ করছে দেশের খাদ্য ঘাটতিও।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গত বছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হলেও চলতি বছরে তা ছাড়িয়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হবে ভুট্টা চাষ। আর ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ।
 
সদর উপজেলার নারগুন গ্রামের কৃষক আব্দুল সামাদ, নলেন চন্দ্র জানান, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে শ্রমিকের মুজুরিসহ ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। ফলন হয় ৪০-৪৫ মন ভুট্টা। নতুন কাঁচা ভুট্টা মণ প্রতি বিক্রয় হয় ৪০০/৫০০ টাকায়। আর পুরাতন ভুট্টা বিক্রয় হয় ৭০০/৮০০ টাকা দরে।

আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সময়মত ভুট্টার দাম পাওয়া যায় না। যদি সময়মত দাম পাওয়া যেত তাহলে কৃষক আরো লাভবান হতো। কারণ কৃষকরা অর্থের অভাবে নতুন ভুট্টা বিক্রয় করে দেয়। আর স্বল্প সংখ্যক কৃষক মজুত করে লাভবান হয়। কৃষক ভুট্টা উৎপাদন করে যতটুকু লাভ করে তার চেয়ে বেশি লাভবান ব্যবসায়ীরা।
 
ঠাকুরগাঁও জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চেম্বার অব কর্মাসের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রাজু জানান, বাজার দর অনুযায়ী আমরা ভুট্টা ক্রয় করি। আমরা লাভবান হলেও মজুত ও মুজুরি খরচ বাদ দিয়ে খুব বেশি ভাল করা যায় না। তবে এ জেলায় যেভাবে ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হয়েছে সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করে তাহলে কৃষক আরো বেশি লাভবান হবেন।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমির ভুট্টা চাষ। আর গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার হেক্টর জমি। আমরা কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে চলতি বছরেরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা।

রবিউল এহ্সান রিপন/এআরএ/এমএস