ফেরি সংকটে দৌলতদিয়ায় যানবাহনের লম্বা সারি
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি সংকটে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে শতশত যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
এসময় ট্রাকগুলোকে ফেরির জন্য সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এবং কোনো কোনো সময় এক থেকে দুই দিনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়ালে থাকা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকেও ফেরির জন্য কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন যাত্রী, চালক ও তার সহকারীরা। সেইসঙ্গে রয়েছে গোসল, খাবার ও টয়লেট সমস্যা।
এদিকে ট্রাকগুলো দীর্ঘসময় নদী পারের অপেক্ষায় থেকে সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে বেড়ে যাচ্ছে ট্রাকের চালক ও শ্রমিকদের খরচ।
রোববার (২৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও অল্পকিছু যাত্রীবাহী যানবাহন সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরের গোয়ালন্দ মোড় সড়কেও প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে।
ট্রাকচালক আলামিন মিয়া, কামরুল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। এই গরমে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। সেখানে খাবার, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। টার্মিনালে রাখলেও কিছুটা ভোগান্তি কম হতো। তাছাড়া সারাবছরই কোনো না কোনো কারণে তারা দৌলতদিয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন।
ট্রাকচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, ট্রাক তাদের ঘর-বাড়ি। গরমে ট্রাকে টিকতে পারছেন না। ঠিকমতো তাদের খাবার-গোসল হচ্ছে না। এছাড়া পণ্য সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারছেন না বলে ব্যবসায়ীরা রাগারাগি করছেন। তাছাড়া সড়কে থেকে যে বাড়তি খরচ হচ্ছে, সে খরচ তো তাদের কেউ দেবে না।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে এই রুটে ২০টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। দুটি ফেরি সংস্কারে ও একটি ফেরি মাওয়ায় পাঠানো হয়েছে। ফেরির সংখ্যা কমে যাওয়া ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। তবে যাত্রীবাহী ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
রুবেলুর রহমান/এমআরআর/জিকেএস