ধানক্ষেতে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তুললেন কৃষক
কৃষক কলিম উল্লাহ মনেপ্রাণে ভালোবাসেন কৃষিকাজ। তেমনি ভালোবাসেন লাল-সবুজের পতাকাকেও। তার কৃষিকর্মের মাধ্যমে ফসলি মাঠে ফুটিতে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে কৃষকের এমন শিল্পকর্ম দেখে থমকে দাঁড়ান পথিক। আগ্রহ নিয়ে জাতীয় পতাকার সৌন্দর্য দেখেন। প্রতিদিন শতশত মানুষ ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করেন এ দৃশ্য।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার গোত্রশাল গ্রামে এক ফসলি মাঠে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
কলিম উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছেন। অনেক সংগ্রাম করে সংসার চালান। মানুষের জমি লিজ নিয়ে সবজি চাষ করতেন। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জোনায়েদ হোসেনের সহযোগিতায় ২০২১ সালে বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি লাইসেন্স পান। এরপর গোত্রশাল নিজ গ্রামে ৪২ শতক জমি লিজ নেন। সে জমিতে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিড্রার বীজ ধান চাষ করছেন। মা, মাটি আর দেশকে ভালোবাসেন মনেপ্রাণে। দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সম্মান জানিয়ে ধানক্ষেতেই ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে বেগুনি রঙের ধানসহ বিভিন্ন জাতের ১০ কেজি ধান বীজ কেনেন। বেগুনি রঙের ধানগাছ দিয়ে অনেকেই অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। সে হিসেবে আমিও জাতীয় পতাকা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মানুষের ছবি তোলার আগ্রহ দেখে আমার কাছে ভালো লাগে।
আবদুর রশিদ নামে এক যুবক বলেন, ধানক্ষেতে বিশাল আকৃতির জাতীয় পতাকার খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থেকে দেখতে এসেছি। সড়কের পাশে এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যে কারও ভালো লাগবে। কৃষক কলিম উল্লাহর দেশপ্রেম দেখে আমাদেরও ভালো লেগেছে। তিনি কৃষিকর্মের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা জোনায়েদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সবজি চাষ থেকে শুরু করে কলিম উল্লাহকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশে বেগুনি রঙের ধান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। বর্তমানে তিনি উন্নত মানের চারটি ধান জাত চাষ করছেন। আর বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন জাতীয় পতাকা। সড়কের পাশে এমন দৃশ্যে যে কারও চোখ আটকে যাবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমআরআর/এএসএম