দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আগের মতো ভিক্ষাও জোটে না পরিবিবির
মৌলভীবাজারের রাজনগরের টেংরা ইউনিয়নের একামধু গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী পরিবিবি (৪০)। ভিক্ষা করে জীবন চালান তিনি। হতদরিদ্র পরিবারে মা-বাবার মৃত্যুর পর আরও অসহায় হয়ে পড়েন তিনি।
আলাপকালে পরিবিবি জাগো নিউজকে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবন প্রায় অচল। এখন আর ভিক্ষাও জোটে না। মানুষ আর আগের মতো ভিক্ষা দেয় না।
সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি রিকশা চান পরিবিবি। চালক দিয়ে চালালে নিজেও চলতে পারতেন আয়েরও একটা রাস্তা বের হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একামধু গ্রামের গিয়াস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, চিকিৎসার অভাবে পরিবিবির দু’টি পা চিকন হয়ে যায়। ৭ বছর বয়স থেকে অসহায় পরিবিবি। হাঁটতে পারেন না। হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করেন। এখন তার বয়স ৪০ বছর। জীবিকার সন্ধানে ঘোরেন দ্বারে দ্বারে। মা-বাবার মৃত্যুর পর তিনি বড়ই একা হয়ে গেছেন। তাকে দেখার কেউ নেই। পেটের দায়ে প্রতি রোববার স্থানীয় টেংরা বাজারে ভিক্ষা করেন এই নারী।
এলাকার ইউপি সদস্য সানুর মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পরিবিবি আমার ওয়ার্ডের এক অসহায় নারী। তাকে দেখার মতো কেউ নেই। প্রতিবন্ধী ভাতা পায় সে। তবে বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। তার চলাচলের জন্য একটা বাহন থাকলে ভালো হতো।
রাজনগর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রকাশ চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতা পান পরিবিবি। চলাচলের জন্য কোনো বাহন দেওয়ার ব্যবস্থা আমাদের হাতে নেই।
আব্দুল আজিজ/এফএ/এমএস