ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৪ ঘণ্টায় বদলে গেলো রক্তের গ্রুপ!

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২২

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চার ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে গেলো লতা বেগম নামে (২০) এক প্রসূতির রক্তের গ্রুপ। বুধবার (৯ মার্চ) উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডস্থ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ার সিঙ্গিপাড়া গ্রামের লতার গর্ভপাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্বজনরা তাকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার রক্তশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার তার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে দেন।

৯ মার্চ দুপুরে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডস্থ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টায় রিপোর্ট আসে তার রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ। সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে দুই শিক্ষার্থী রক্ত দিতে আসেন।

ক্রস ম্যাচিংয়ের জন্য একই ডায়াগনস্টিকে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টায় রিপোর্ট হাতে পেয়ে চমকে ওঠেন স্বজনরা। দেখেন এবার রক্তের গ্রুপ লেখা হয়েছে ‘এ’ পজিটিভ। রিপোর্ট দুটিতেই স্বাক্ষর রয়েছে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মারিয়াম খানমের। দুই রকমের ফল আসায় লতা বেগমের স্বজনরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। ফলে তাকে রক্ত দেওয়া বিলম্ব হতে থাকে। পরে এক স্থানীয় সংবাদকর্মী এক ব্যাগ ‘এ’ পজিটিভ রক্ত দিলে তা প্রসূতির শরীরে সঞ্চালন করা হয়।

jagonews24

রোগীর স্বামী ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘এ ভুলের কারণে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তাদের এ ভুলে আমার স্ত্রীর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কে দায়িত্ব নিত? রোগী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যদি এমন প্রতারণা করে, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? এরকম দুর্ঘটনা এড়াতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী মো. কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি ঘটেছে। এছাড়া আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না। সামনে যাতে এমনটা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এ ঘটনা দুঃখজনক এবং অপেশাদার। এমন ভুলের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। যিনি পরীক্ষা করেছেন তিনি সনদপ্রাপ্ত কি না খতিয়ে দেখা হবে। একইসঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মেহেদী হাসান/এসজে/এএসএম