দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে তরুণী উদ্ধার
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে গোয়ালন্দ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক তরুণীকে (২০) উদ্ধার করেছে। তিনি মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার কৃষক পরিবারের মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে অভিযানে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পল্লীর বাড়িওয়ালী শিল্পী (৫০) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় হোসেন মণ্ডল পাড়ার লাল্টু মণ্ডলের কথিত স্ত্রী।
উদ্ধার হওয়া তরুণী জানান, তাদের পাশের গ্রামের সাগর ওরফে জুয়েল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রায় দেড় মাস আগে তিনি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে এসে শিল্পী নামে এক বাড়িওয়ালীর কাছে বিক্রি করে চলে যান। প্রায় দু’সপ্তাহ পর ওই বাড়িওয়ালী তাকে পল্লীর পাহারাদার দলের সরদার ও বাড়িওয়ালা লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর লাল মিয়া তাকে মাসখানেক পর আরেক বাড়িওয়ালীর কাছে বিক্রি করেন। তারা প্রত্যেকেই তাকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়া তরুণীকে গত রোববার এলাকার এক যুবক পল্লীতে দেখে তরুণীর অভিভাবকদের খবর দিলে সোমবার তরুণীর বাবা গোয়ালন্দ থানায় এসে এ ঘটনা জানান। পরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকের নেতৃত্বে পুলিশ শিল্পী বাড়িওয়ালীর বাড়িতে বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক ও তরুণীকে উদ্ধার করে।
আটক হওয়া শিল্পী বাড়িওয়ালী জানান, তিনি ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে তিন দিন আগে লাল মিয়া কমান্ডারের কাছ থেকে মেয়েটিকে কিনে নেন। এছাড়া মেয়েটির লাইসেন্সের কাগজপত্র পাহারাদাররা করে দেবেন বলে বলেছিলেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহ্জালাল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এমজেড/পিআর