ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহ্বান অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেটে জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সোমবার বিকেলে শহরতলির বাদাঘাটে নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনকালে অর্থমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটে আগেও জঙ্গি হামলা হয়েছে। এই গোষ্ঠি এখনো তৎপর রয়েছে। এদের তৎপরতা ঠেকাতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার বাদাঘাটে স্থানান্তর করা হবে। আর পুরনো কারাগারের স্থানে গ্রীন পার্ক নির্মাণ করা হবে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি শনিবার সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানও সিলেটের বিভিন্ন শিয়া মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার কথা পুলিশের জানা আছে। গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন ডিআইজি।

Sylhet-Finance
কারাগারের জন্য বাদাঘাট থেকে সিলেট শহরতলীর তেমুখী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানকার সংযোগ সড়ক নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। আজকে এখানে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এসেছেন। এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিক সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সফরকে সফল করে তুলতে হবে। এজন্য সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। সিলেট সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে মোমেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক প্রমুখ।

এর আগে অর্থমন্ত্রী সোমবার পৌনে ২টার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে সরাসরি বাদাঘাটে এসে পৌঁছান। পরে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নব-নির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি