ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জনবল থাকলেও নেই ফায়ার স্টেশন

নুর উল্লাহ কায়সার | প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ০১ মার্চ ২০২২

ভূমি জটিলতায় এক যুগ ধরে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজ আটকে আছে। কিন্তু এরই মধ্যে এ স্টেশনের জন্য জনবল নিয়োগ ও একটি গাড়ি বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্টেশন না থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল পার্শ্ববর্তী উপজেলা কবির হাট ফায়ার সার্ভিসে কাজ করছে। বরাদ্দ দেওয়া গাড়িটি ঢাকার একটি স্টেশনে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ফায়ার স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে আসে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। এতে সময় বেশি লাগায় অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে দাগনভূঞাবাসীর। তাই দ্রুত ভূমি জটিলতা নিরসন করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে দাগনভূঞা ফায়ার সার্ভিস নির্মাণের জন্য ২২ লাখ টাকায় ৩৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ওই জায়গার মালিক পক্ষ আজিমুর রহমানসহ ১১ জন বাদী হয়ে উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ভূমি সচিব, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়।

মামলা জটিলতায় একপর্যায়ে ওই জায়গায় স্টেশন স্থাপন কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় প্রশাসন। পরে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ৩৩ শতক জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৮ সালে অধিগ্রহণকৃত ভূমির টাকা প্রকৃত মালিকদের হাতে হস্তান্তর করা হলেও সেখানে ভবন নির্মাণের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়া ও নির্মাণ সামগ্রীর ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। সেই থেকে দাগনভূঞা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজের ফাইলটি চাপা পড়ে আছে।

গণপূর্ত বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব জাগো নিউজকে বলেন, দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভূমি জটিলতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারেনি। জটিলতা নিরসনে দীর্ঘসূত্রিতায় দরপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় স্টেশন নির্মাণ করা যায়নি। ভূমি জটিলতা শেষ হলে পুনরায় ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হবে।

এদিকে ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মূৎসুদ্দী জাগো নিউজকে বলেন, দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশনের জন্য ২০২১ সালে ১২ জন ফায়ার ম্যান, একজন লিডার ও দুজন গাড়িচালকের একটি দল নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে স্টেশন নির্মাণ না হওয়ায় পার্শ্ববর্তী কবির হাট ফায়ার স্টেশনে ওই জনবল স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি আরও পাঁচজনকে দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়া দাগনভূঞা ফায়ার স্টেশনের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গাড়িটি ঢাকা থেকে এনে পার্শ্ববর্তী সেনবাগ ফায়ার স্টেশনে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, দাগনভূঞায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য বর্তমানে ৩৩ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণ করা আছে। নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা মোতাবেক সেখানে আরও ৩৩ শতাংশ জমি নেওয়ার জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ শেষে সেখানে স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।

এসজে/জিকেএস