দলীয় ‘মনোনয়ন না পেয়ে’ নৌকা প্রার্থীর কার্যালয় ভাঙচুর!
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, ভাসান্যাদম ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন হযরত আলী।
নৌকার প্রার্থী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে দলীয় কাজ শেষে যে যার মতো বাড়ি ফিরে যাই। শনিবার সকালে কার্যালয় খুলতে গিয়ে দেখা ভাঙচুর করা। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। সেগুলো নিচে পড়ে আছে। পরে পুলিশ এবং উপজেলার দলীয় নেতাদের খবর দেওয়া হয়। তারাও বিষয়টি দেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হযরত আলী) দলীয় শৃঙ্খলা না মেনে নির্বাচন করছেন। এটি তার লোকজনের কাজ। তিনি এই অপকর্মের নাটের গুরু।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও ভাসান্যাদম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিপাকে ফেলতে ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের জন্য তারা নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন, ‘তারা শুধু দলীয় প্রার্থীর কার্যালয় ভাঙচুর ও পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়েই নিবৃত্ত হয়নি, কার্যালয়ে রাখা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভেঙেছে। এ বিষয়ে লংগদু থানা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটি তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, আমি ঘটনা শুনেই ঘটনাস্থলে যাই। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।
শংকর হোড়/এসআর/এএসএম