গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত ১
গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ সন্ত্রাসী মনির হোসেন খান (৩৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০০ পিস ইয়াবা, গুলি, গুলির খোসা ও অবিষ্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে।
নিহত মনির হোসেন খান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনা কাথোরা এলাকার কবির হোসেন খানের ছেলে। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজায়েত হোসেন বলেন, পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে জয়দেবপুর থানা ও কালিয়াকৈর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা কোনাবাড়ি কলেজ গেইটের সামনে গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য বেচাকেনা চলছে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম ও জয়দেবপুর থানার পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০০ পিস ইয়াবাসহ সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন খানকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মনির হোসেন খান তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করে এবং তাদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক ও মাদকদ্রব্য রয়েছে বলেও জানায়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মনির হোসেন খানকে সঙ্গে নিয়ে তার সহযোগী কাথোরা এলাকার আইয়ুব খান (২৯), সাইদুর (২৫), সবুজ (২৪), সালনা এলাকার কায়েস (৩৫), নূরু (২৮) এবং কুমারখাদা এলাকার ওবায়েদকে (৩০) আটক এবং অবৈধ অস্ত্র ও বিষ্ফোরক উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের হালডোবা গ্রামের কাওয়ামারা বাইদে বনের ভিতর পায়ে হাঁটার রাস্তা দিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২০০ গজ পূর্ব দিকে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি মো. মনির হোসেন খানকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আসামি মনির হোসেন খান পুলিশের কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। পরে রাতেই তাকে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই মমিন হোসেন পিপিএম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১২টি গুলির খোসা, ৫টি অবিষ্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানার এসআই সুজায়েত হোসেন বাদী হয়ে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, মনির হোসেন খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজিসহ ২৭টি মামলা রয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, মো. মনির হোসেন খানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার ডান বুকে এবং পেটের উপরিভাগে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এসএস/পিআর