ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

র‌্যাবের হেফাজতে বিসিসি প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ

প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬

সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) ১নং প্যানেল মেয়র ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেএম শহিদুল্লাহ শহিদের সন্ধান মিলেছে। নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শহিদুল্লাহকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে র‌্যাব।

তিনি ১২নং ওয়ার্ড থেকে পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কেএম শহিদুল­াহ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।

শহিদুল্লাহর শ্যালক আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুর দেড়টার দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে সাদা পোশাকধারী লোক শহিদুল্লাহকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় শহিদুল্লাহ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে র‌্যাব সদস্যরা পরিচয়পত্র দেখায়। এরপর শহিদুল্লাহকে গাড়িতে করে র‌্যাব কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। পিছনে র‌্যাবের একটি পিকআপও শহিদুল্লাহকে বহন করা গাড়িটি ফলো করতে থাকে।


আনোয়ার হোসেন আরো জানান, মাইক্রোবাস থেকে কেএম শহিদুল্লাহ তার মেয়ে সামন্তকে মোবাইল দিয়ে জানায় র‌্যাবের লোক তাকে তাদের কার্যালয় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সামন্তসহ পরিবারের সদস্যরা শহিদুল্লাহর খোঁজে র‌্যাব কার্যালয়ে গেলে তাদের জানানো হয় এই নামের কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কর্যালয়ে নেয়া হয়নি। বিষয়টি শহিদুল্লাহর পরিবার থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবহিত করা হলে সাংবাদিকরা র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিছনের গেট সংলগ্ন শহিদুল্লাহ নিজ বাসভবন অভিযানে যায় র‌্যাব সদস্যরা। প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহকে কালো প্রাইভেটকারের পিছনের সিটে বসিয়ে নেয়া হয়। তাকে বহনকারী গাড়িটির সামনে পিছনে র‌্যাবের আরো ৪টি গাড়ি ছিল। বাসভবন ‘ছবি নীড়’ এ গিয়ে গ্যারেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়া হয় শহিদুল্লাহকে বহনকৃত গাড়িটি।


বাকি গাড়িগুলো থেকে র‌্যাব সদস্যরা নেমে শহিদুল্লাহর বাসার সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে সাধারণ জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে শহিদুল্লাহকে প্রাইভেটকারে তুলে আবার র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় প্রাইভেট কারের পিছনে বসা প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ সাদা চাদর পড়া ছিল। তার বাসায় তল্লাশি চলাকালে র‌্যাব স্বীকার করে তাকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের মেজর আদনান জানান, নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল্লাহকে আটক করা হয়েছে।

সাইফ আমীন/বিএ

আরও পড়ুন