ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

একদিনেই ৩ হাজার শিক্ষার্থীর সিডিউল, গাদাগাদিতে টিকা প্রয়োগ

জেলা প্রতিনিধি | সিরাজগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২২

শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকার আওতায় আনতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় চলছে টিকাদান কর্মসূচি। ৮ জানুয়ারি থেকে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কার্যালয়ের দুটি বুথে টিকাদান শুরু হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি অবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একইদিনে উপজেলার ৯টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৪২ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা প্রয়োগের দিন নির্ধারিত ছিল। ফলে টিকাদান শুরুর আগ থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু একই সময়ে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ায় বড় ধরনের জটলার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরা আসায় এই জটলা আরও বাড়ে। অনেকটা গাদাগাদি করেই টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো সুযোগই দেখা যায়নি ছিল না। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মুখে ছিল না মাস্কও।

রায়হান আলী নামের এক অভিভাবক জানান, টিকা নিতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া তার ছেলে সকাল সাড়ে ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে। কিন্তু ভিড়ে গাদাগাদির করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে সে শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করতো সবচেয়ে ভালো হতো। অভিভাবকদের দুর্ভোগে পড়তে হতো না, আর শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এ টিকা প্রয়োগ করা যায় না। কিন্তু কোনো নিয়মনীতি মানছে না কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

টিকা প্রয়োগে নিয়মনীতি আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে গিয়ে সামনা সামনি বসে কথা বলবো।’

তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফকির জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাদাগাদি হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর দায়ভার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের, আমার নয়। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এ টিকা প্রয়োগ করা যায় না। তারা যেভাবে দিচ্ছেন এ দায়ভার তাদের।

এসজে/এএসএম