বাদশার রাজত্ব চলে শহরের পাঁচ পয়েন্টে
সকালের বাদশা সে, যার হাতে পাউরুটি কিংবা অন্য কোনো খাবার দেখবে সেটাই জোর করে খেয়ে নেবে। তাই সাধারণ মানুষ তার নাম দিয়েছে বাদশা। তবে বাদশা কোনো মানুষের নয় বরং একটি বানরের নাম। সুনামগঞ্জ পৌরশহরে সকাল হলেই দেখা যায় বাদশা নামের এই বানরটিকে।
শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজার বাড়ির সামনে সাহেববাড়ি ঘাট থেকে একাই হেঁটে আসছে একটি বানর। আশপাশে অনেক মানুষ থাকলেও বানরটিকে কেউ কিছুই বলছে না। তবে যেই বানরটিকে বাদশা বলে ডাক দিয়ে পাউরুটি কিংবা অন্য কোনো খাবার দেয় বানরটি সেটা নিয়ে আবার তার গন্তব্য স্থানে চলে যায়।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌর শহরের উত্তর আরপিন নগর পয়েন্ট, জেলরোড পয়েন্ট, উকিলপাড়া পয়েন্ট, কালীবাড়ি পয়েন্ট এবং হোসেন বখত চত্বর পয়েন্ট বানরটি সকাল থেকে দখলে রাখে। একেকদিন বানরটি একেকটি পয়েন্টে অবস্থান করে।
প্রথম দিকে বানরটি অন্যের খাবার কেড়ে খেতো। কিন্তু পরে এই পাঁচ পয়েন্টের মানুষ বানরটিকে না মেরে বরং ভালোবেসে খাবার দেয়।
পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা মেহের আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার বানরটি আমাদের এলাকায় আসে কিন্তু বানরটি কোথা থেকে আসে আমরা জানি না। তবে এই বানরটির কথা পুরো সুনামগঞ্জের মানুষ জানে।
পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বর এলাকার বাসিন্দা তম্ময় মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, একটি বানর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা সত্যি খুব চিন্তার বিষয়। কারণ যদি বানরটি কোনো শিশুকে সুযোগ পেয়ে কামড়ে দেয় তাহলে সেটা আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই বানরটির বিষয়ে যেন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সুনামগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা অরুণ বরুণ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, একটি বানর শহরে ঘোরাঘুরি করছে জেনে আমরা সভা করেছি এবং মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে এই বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তবে সুনামগঞ্জের সকল মানুষের প্রতি আমার অনুরোধ কেউ যাতে বানরটিকে বিরক্ত না করে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/জিকেএস