ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায় ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারী মহিষবাথান প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম ফাতেমা খাতুন (৩৭)। স্বামী সাদিকুল ইসলাম কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন দগ্ধ স্কুলশিক্ষকের ছোট বোন নূর জাহান খাতুন।
নূর জাহানের ভাষ্যমতে, ফাতেমা নগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ২০ বছরের সংসার। ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। দুই সন্তানসহ নগরীর রাজপাড়া এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তবে বিয়ের পর থেকেই ফাতেমাকে নির্যাতন করে আসছিলেন সাদিকুল। পারিবারিক, সামাজিক ও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর অত্যাচারের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। বুধবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফাতেমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সাদিকুল। ফাতেমা চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভান। এসময় সাদিকুল ইসলাম পালিয়ে যান।
দগ্ধ ফাতেমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, আমার দুলাভাই একজন মাদকাসক্ত এবং বেকার মানুষ। এলাকায় তিনি মাস্তান হিসেবেও পরিচিত। তিনি প্রায়ই আমার বড় বোনকে নির্যাতন করতেন। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন তিনি।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আফরোজা নাজনীন বলেন, ফাতেমার শরীরের ৪০ শতাংশ ‘মিক্সড বার্ন’ হয়েছে। অর্থাৎ কোনো স্থানে গভীর ক্ষত হয়েছে আবার কোনো স্থানে শুধু চামড়া পুড়ে গেছে। তার মুখ, হাত, বুক পুড়ে যাওয়া ছাড়াও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে স্বামী সাদিকুল ইসলাম পলাতক। এ ঘটনায় ফাতেমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ফয়সাল আহমেদ/এসআর/জিকেএস