ভারতে ওমিক্রন: বেনাপোল চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা
ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ায় বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে বেনাপোল চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ। কড়াকড়িতে কমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত। সড়কপথে ভিসার আবেদন করলেও মিলছে আকাশ পথের ভিসা।
চেকপোস্ট সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহের প্রথম পাঁচদিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করেছেন পাঁচ হাজার ৬৮৭ জন। এরমধ্যে ভারতে গেছেন দুই হাজার ২৬৭ জন ও ভারত থেকে এসেছে তিন হাজার ৪২০ জন।
১ জানুয়ারি (শনিবার) ভারতে গেছে ৩৭৫ জন, এসেছেন ৭০৯ জন। ২ জানুয়ারি ভারতে গেছেন ৪৭৮ জন, এসেছেন ৮৬৪ জন। ৩ জানুয়ারি ভারতে গেছেন ৪৯১ জন, এসেছেন ৬১১ জন। ৪ জানুয়ারি ভারতে গেছেন ৪৪২ জন, এসেছেন ৬৩৯ জন ও ৫ জানুয়ারি ভারতে গেছেন, ৪৮১ জন এসেছেন ৫৯৭ জন।
সূত্র জানায়, ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। ভারত ফেরত ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। মেডিক্যাল ও বিজনেস ভিসা (আমদানি রপ্তানি ডকুমেন্ট) ছাড়া কাউকে ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সে দেশের ইমিগ্রেশন। ভরত থেকে আসা সব যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সেখানে পাসপোর্টধারী যাত্রী আরতি দেবনাথ জানান, সড়কপথের আবেদন করলেও আকাশ পথের ভিসা পাই। তিনগুণ বেড়েছে বিমান ভাড়া। আবার এক সপ্তাহের আগে কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এত টাকা খরচ করে সাধারণ যাত্রীদের ভারতে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় উত্তরণে দেশে চিকিৎসা খাত আরও উন্নত করা দরকার।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী শামিম বলেন, ‘মাঝে মধ্যে ভারত যেতে হয়। এখন ভারতীয় ইমিগ্রেশনের কড়াকড়িতে ইচ্ছে মত যাওয়া যাচ্ছে না। এতে ব্যবসা ক্ষতি হচ্ছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. শুভঙ্কর কুমার মণ্ডল বলেন, ‘ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে ভারত ফেরত সন্দেহভাজন যাত্রীদের করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ভারত ফেরত সন্দেহভাজন ৬৪ জন বাংলাদেশিকে পরীক্ষা করে চারজন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের রাখা হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা রেড জোনে।’
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে যাত্রী সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করেছে বেনাপোল চেকপোস্টসহ বন্দর এলাকায়।
মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/জেআইএম