বাংলাদেশকে ইয়াবার মার্কেটিং ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মিয়ানমার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নিজেরা উৎপাদন করলেও ইয়াবা মিয়ানমারে সেবন নিষিদ্ধ। তারা বাংলাদেশকে ইয়াবার মার্কেটিং ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একারণে নানাভাবে এটি এদেশে প্রবেশ করছে। তাই ইয়াবা এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনায় মিয়ানমার বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের বিয়াম ল্যাবরেটরি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান ও প্রচারণা কর্মসূচি-২০১৬’র উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে কখনোই ইয়াবা পাচার ও সেবন রোধ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে চালাতে হবে সর্বত্র প্রচারণা। আগামীতে শ্রেণি পাঠ্যপুস্তকে মাদকের কুফল নিয়ে আলাদা একটি বিষয় অর্ন্তভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, টেকনাফ-উখিয়া আসনের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার রাকিবুর রহমান, কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহিদুল ইসলাম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।
অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহমদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদক বিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সামনে থেকে ‘দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান ও প্রচারণা কর্মসূচি-২০১৬’র একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিয়াম ল্যাবরেটরি মিলনায়তের এসে শেষ হয়। মাদক বিরোধী বিভিন্ন ফেস্টুনসহ নানান সংগঠন র্যালিতে অংশ নেয়।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/পিআর