সরে দাঁড়ালেন রামেকের দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বন্ধ করোনা পরীক্ষা
ফের লোক সংকটের কারণে বন্ধ পড়ে আছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাব। কর্মরত দুজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
তিনি বলেন, রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের এসএম হাসান এ লতিফ ও হামিদ আহমেদ নামের দুজন মেডিকেল কর্মকর্তা হাসপাতালের ল্যাবে কাজ করছিলেন। ২০২০ সালের মার্চের দিকে তাদের ডিএনএ ল্যাব থেকে আনা হয়। সম্প্রতি ওসিসিতে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় তারা তাদের নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন। এ কারণে তারা অব্যাহতি দিয়ে নিজ কর্মস্থলে চলে যান।
অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে এসএম হাসান বলেন, আসলে ল্যাব পরিচালনার আসল কাজ মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের। বর্তমানে আমাদের বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ টেস্টের প্রচুর চাপ বেড়েছে। আইনি মামলার কারণে অনেক ল্যাব টেস্ট পেন্ডিং আছে। আর সে কারণেই আমরা অব্যাহতি নিয়েছি। এছাড়া বর্তমানে সরকার মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের ল্যাব কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে থেকে ল্যাব পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, মূলত ২০২০ সালের মার্চে আমরা রাজশাহী ইউনিভারসিটির মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের কাছে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বেচ্ছায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য করোনা ল্যাবে এসেছিলাম কাজ করতে। দীর্ঘ দুবছর বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের কর্মস্থলে কাজের চাপ ও ডাক আসায় অব্যাহতি দেওয়া। এরপরও হাসপাতাল পরিচালক অনুরোধের কারণে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করি। ১৭ ডিসেম্বরে নিজ ল্যাবে কাজ শুরু করি।
রামেক পরিচালক বলেন, এখন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কম। যা নমুনা মিলছে তা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। ল্যাব বন্ধ পড়ে থাকার বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তারা জনবল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফয়সাল আহমেদ/এসজে/জিকেএস