নাফ নদীতে মিললো রোহিঙ্গা তরুণীর মরদেহ
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে এক রোহিঙ্গা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, দালালের খপ্পরে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত আসমা আক্তার (১৯) মিয়ানমারের মংডু থানার হাড়ি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ছালামের মেয়ে ও উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ২০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকেন।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় জেলেরা নাফ নদীতে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ রাতে পৌরসভার হেচ্ছার খাল সংলগ্ন নাফ নদী থেকে রোহিঙ্গা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ থানায় নিয়ে যায়।
মৃত তরুণীর চাচা ইসমাঈল বলেন, আসমা উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ২০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বাস করছে। গত ১৪ নভেম্বর টেকনাফে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো। ১৬ ডিসেম্বর হঠাৎ সে নিরুদ্দেশ হয়।
সারাদিন খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় জিডি করা হয়। বাসা থেকে গোপনে বেরিয়ে স্থানীয় কোনো জেলের নৌকায় মিয়ানমারে যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) খোরশেদ আলম জানান, ভাতিজি নিখোঁজের বিষয়ে আসমার চাচা ইসমাঈল টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন ১৬ ডিসেম্বর। তা তদন্তের জন্য গিয়ে নাফ নদীতে মরদেহ ভাসার খবর পায় পুলিশ। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এটা হত্যা নাকি দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস