ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় ১২ মেয়র প্রার্থী জামানত হারালেন

প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৬

গাইবান্ধার তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনই জামানত হারিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান প্রামানিক জানান, কোনো প্রার্থী মোট প্রাপ্ত ভোটের শতকরা আট ভাগের একভাগের নীচে ভোট পেলে তিনি জামানত হারাবেন। তাকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেয়া জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হবে না।

গাইবান্ধা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন ১০ হাজার ৬শ` ৪৪, সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আব্দুলল্লাহ আল মামুন ৪ হাজার ৮শ` ৪১ এবং গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার ১৫ হাজার ৫শ` ১০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন অফিস জানায়, যারা জামানত হারালেন তারা হলেন, গাইবান্ধা পৌরসভায় শহীদুজ্জামান শহীদ (বিএনপি), মির্জা হাসান (স্বতন্ত্র), ফেরদৌস আলম (স্বতন্ত্র) ও সরদার রোকনুজ্জামান পলাশ (স্বতন্ত্র)। এই পৌরসভায় মেয়র পদে সাতজন, কাউন্সিলর পদে ৭২ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৬ হাজার ৩৮১। প্রাপ্ত ভোট ৩৪ হাজার ৭৭৫।  

গোবিন্দগঞ্জে জামানত হারিয়েছেন আখতার হোসেন (জাতীয় পার্টি) ও মতিন মোল্লা (ওয়ার্কার্স পার্টি)। এ পৌরসভায় মেয়র পদে মোট চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৬শ` ৪৪। প্রাপ্ত ভোট ২২ হাজার ৮২।

সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মশিউর রহমান সরকার (জাতীয় পার্টি), মশিয়ার রহমান (জাতীয় পার্টি জেপি), শাহাদাৎ হোসেন (জাসদ), দেবাশীষ কুমার সাহা (আ. লীগের বিদ্রোহী) শাহীন আহম্মেদ (আ. লীগের বিদ্রোহী) ও মাসুদুল ইসলাম (আ. লীগের বিদ্রোহী) জামানত হারান।

এর মধ্যে জাসদ সমর্থিত শাহাদাৎ হোসেন পান মাত্র ৩০ ভোট। এই পৌরসভায় মেয়র পদে আটজন, কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৫শ` ৪। প্রাপ্ত ভোট ১০ হাজার ৩শ` ২৬।

অমিত দাশ/এমজেড/এমএস