শেরপুরে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, আটক ২
শেরপুরে আব্দুল খালেক নামের সার্কিট হাউজের এক কর্মচারীকে র্যাবের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে মাগুরা থেকে তাদের আটক করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, ওয়াকিটকি, চার্জার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হচ্ছেন-মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের আনসার মোল্লার ছেলে ইয়াসিন আলী ও একই এলাকার নায়েব আলী শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ঘটনায় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল খালেকের করা মামলায় আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার আব্দুল খালেক শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া এলাকার বাসিন্দা ও শেরপুর সার্কিট হাউজের কর্মচারী।
পুলিশ জানায়, রোববার (১২ ডিসেম্বর) বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোর ৪টায় নবীনগর বাস টার্মিনাল থেকে মুনিমুক্তা বাসযোগে ঢাকায় যান আব্দুল খালেক। ঢাকায় পৌঁছে তিনি মগবাজার যাওয়ার পর ইয়াসিন তাকে ফোন করে দেখা করেন। পরে সেখানে ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আব্দুল খালেককে র্যাবের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়িতে জোর করে উঠিয়ে চোখ বেঁধে ফেলেন এবং নির্যাতন করেন। সেখান থেকে তাকে মাগুরায় নিয়ে একটি ভবনের দোতলায় রেখে নির্যাতন এবং পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে খালেকের পরিবার প্রথমে ৫০ হাজার ও পরে আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়।
এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে খালেকের পরিবার। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের খালিদ অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হন। র্যাবের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে অপহৃত আব্দুল খালেককে উদ্ধার এবং অপহরণকারী ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সদর থানায় ইয়াসিন ও জাহাঙ্গীরসহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। অন্য দুই আসামি হচ্ছেন একই জেলার শিপন ও সোহেল।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/এএসএম