ভোট চাইতে গিয়ে হামলার শিকার, নারীসহ আহত ১৮
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে ভোট চাইতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় পাঁচ নারীসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সিরাজকান্দি বাজার এলাকার খোকার ডোবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আনারস প্রতীকের সাত কর্মীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে দুজনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, পলশিয়া গ্রামের আমিনা (৩৫), মোজলেফা বেগম (৩৫), আয়েশা আক্তার (৫০), সুখীতন বেগম (৭০), আব্দুর রাজ্জাক (৬০), সিরাজকান্দি গ্রামের রফিকুল (৫০) ও পুনর্বাসন এলাকার মাসুদ (২০)। তাদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিকরাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের ১৮-২০ নারী কর্মী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে দুপুরে পলশিয়া গ্রামে যায়। খবর পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের ৪০-৪৫ কর্মী মোটরসাইকেল যোগে হাতুড়ি নিয়ে তাদেরকে ঘেরাও করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী মমিন সরকার, মোনায়েম সরকার, লিমন সরকার, নয়ন সরকার, সাদ্দাম হোসেন আকন্দ ও সাইফুল ইসলাম আকন্দের নেতৃত্বে অন্যরা হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নারী কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আনারস প্রতীকের কয়েকজন সমর্থক আহত হন।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদ জানান, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে পলশিয়া এলাকার নির্বাচনী জনসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিন সরকার উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে তার কর্মীদের ক্ষেপিয়ে তোলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আনারস প্রতীকের কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে হামলা করে।
অপরদিকে, নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকার জানান, সিরাজকান্দি এলাকায় নৌকার জন্য ভোট চাইতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তারা ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সিরাজকান্দি ও পলশিয়া এলাকায় নৌকা প্রতীকের কর্মীদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওহাব জানান, শনিবার দুপুরে পলশিয়া ও সিরাজকান্দি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/এএইচ/জেআইএম