ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৩ সমর্থক বহিষ্কার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আ’লীগে তোলপাড়

জেলা প্রতিনিধি | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশিত: ০৭:২৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ১৭ জনকে বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। তবে বহিষ্কার সুপারিশের তালিকায় সমর্থক বলে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়।

৮ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানবীর ভূঞা স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সমর্থককে বহিষ্কার করা যাবে, এমন কথা কোথাও লেখা নেই। সমর্থক উল্লেখ করে বহিষ্কারের বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে উপজেলায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বহিষ্কৃতরাও।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার উপধারা ‘ক’ তে বলা আছে, কোনো সদস্য আদর্শ, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র ও নিয়মাবলি বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থপরিপন্থি কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কারের সুপারিশের তালিকায় বুধন্তি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন খান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও হরষপুর ইউনিয়নের মো. শাহজাহানকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

৩ সমর্থক বহিষ্কার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আ’লীগে তোলপাড়

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে আওয়ামী লীগ বা কোনো অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে আমার সদস্য পদও নেই। তবে আমিসহ আমার পরিবার জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থক। দলের কোনো সদস্যপদ না থাকলেও কীভাবে বহিষ্কার করতে পারে, তা আমার বোধগম্য নয়।’

আরেক বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমি গত নির্বাচনেও স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিয়েছি। এবারও তা করতে চেয়েছিলাম। তবে দলের আশ্বাসে দলীয় প্রতীক পেতে মনোনয়ন কিনি। আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি তো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে কেন?’

বহিষ্কার করা আরেক সমর্থক বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে ড. রাহুল চৌধুরী বলেন, আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমার বাবা আওয়ামী লীগের কোনো পদ বা সদস্য নন। এরপরও আমার বাবাকে বহিষ্কার করলো কীভাবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সদস্য না হয়ে সমর্থক হলেও বহিষ্কার করা যায়। তারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে সুপারিশ করা হলে বহিষ্কার করা হয়।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম