ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে ভুল নম্বরে!

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর | প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

দিনের পর দিন অফিসে ঘুরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এমনকি প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন না অনেকে। ভাতার টাকা না পেয়ে বিপাকে সুবিধাভোগীরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে ভুল নম্বরে। সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়েও মিলছে না সমাধান। অথচ ভুক্তভোগীদের বলা হচ্ছে সবুর করতে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একসময় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল ধরনের ভাতা পরিশোধ করা হতো ব্যাংকের মাধ্যমে। এতে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতো সুবিধাভোগীদের। টাকা উত্তোলনের এ ঝামেলা কমাতে শুরু হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা পরিশোধের কার্যক্রম। কিন্তু এতেও শুরু হয় বিড়ম্বনা। এতে প্রকৃত ভাতা গ্রহীতার টাকা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় অফিস চলাকালীন সময়ে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন ভুক্তভোগী অনেকে। সকলের একই অভিযোগ তাদের ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে অন্য নম্বরে। তাদের অভিযোগ কারসাজি করে তাদের টাকা তুলে নিচ্ছে অন্য কেউ।

jagonews24

নূর নবী নামে এক প্রতিবন্ধীর ভাতা নিতে এসেছেন ছোট ভাই সাহেদুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম এলোটের টাকা গত ঈদুল ফিতরে পেয়েছিলাম, কিন্তু এরপর আর কোনো টাকা পাইনি। আমি কয়েকদিন যাবত টাকা তুলতে এসে সমাজসেবা কার্যালয়ে ঘুরতেছি, কিন্তু আলহাজ্ব উদ্দিন নামে এক ইউনিয়ন সমাজকর্মী আমাকে বলছেন সবুর করতে।’ তার অভিযোগ টাকা তারাই কারসাজি করে অন্য নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছে।

লিলি বেগম এসেছেন মহাদান ইউনিয়নের মাটিয়াজানি গ্রাম থেকে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৬-৭ মাস থেকে ঘুরতেছি, অনেকে ২-৩ তিনবার টাকা তুলছে কিন্তু আমি টাকা পাইনি। অফিস থেকে বলা হচ্ছে টাকা অন্য নম্বরে চলে গেছে।

ডোয়াইল ইউনিয়নের দোলভিটি গ্রাম থেকে বোন রোকেয়া বেওয়ার সঙ্গে এসেছেন বেল্লাল হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, নেতাদের টাকা দিয়ে বোনের কার্ড করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে টাকা পেলেও বোন কোনো টাকা পাচ্ছে না। বলা হচ্ছে টাকা অন্য নম্বরে চলে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আরিফুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এই প্রোগ্রামটা নতুন শুরু হয়েছে। টেকনিকেল ত্রুটির কারণে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। এখন আর তেমন অভিযোগ নেই। যা ছিল সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কারো সমস্যা দেখা দিলেও তার সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে।

নাসিম উদ্দিন/এফএ/জিকেএস