সুজানগর ও ফরিদপুরে সংঘর্ষে ১২ জন আহত
পাবনায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলার সাত পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল চারটার পর থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। জেলার ফরিদপুর ও সুজানগরে সংঘর্ষে বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগর পৌরসভার ভবনাীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।
এসময় বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দেলোয়ার (৩৫), হানিফ (২৭) এবং রাজ্জাক (২০) নামক তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে রাজ্জাককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে ভোটকেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে র্যাব বিজিবি ও পুলিশ এসে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। ভোট কেন্দ্রের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সুজানগর পৌরসভার নিউগির বনগ্রাম, পাইলট হাইস্কুল এবং চরভবানীপুর কেন্দ্রে বেলা পৌনে একটার দিকে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর দুপুর দেড়টার দিকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সুজানগরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ফরিদপুর পৌরসভার রাউতনাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরকারি দলের মেয়র প্রার্থীর লোকজন বিএনপির মেয়র প্রার্থী এনামুল হক এবং তার নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল হাকিমকে ভোটকেন্দ্র থেকে থেকে বের করে দিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।
প্রসঙ্গত, পাবনার সাত পৌরসভায় মেয়র পদে ৩৫, সাধারণ কাউন্সিলর ২৫৩ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রসঙ্গত ৮১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেসব পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে সেগুলো হলো পাবনা, সুজানগর, সাঁথিয়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ঈশ্বরদী। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে সাড়ে তিন হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়।
একে জামান/এমজেড/আরআইপি