বিছিন্ন ঘটনায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, চলছে গণনা
জালভোট, কেন্দ্র দখল আর জোর করে ব্যালট পেপারে সীলা মারার মত ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোর ভোটগ্রহণ প্রকৃয়া। এবার গণনার পালা। বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৪টায়।
এদিকে, ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে চন্দনাইশ পৌরসভার তিনটি কেন্দ্রে। সীতাকুন্ডে ভোট কেন্দ্রে অনুপ্রবেশের দায়ে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিকেলে ভোট বন্ধের আগে চন্দনাইশ ও পটিয়ায় সংঘর্ষ হয়েছে দু পক্ষের মধ্যে।
এছাড়া রাউজানের সবগুলো কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিরোধের মুখে রাউজান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান। সীতাকুন্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে বিএনপির প্রার্থী আবুল মনসুর।
মীরসরাই ও বারৈয়ারহাট পৌরসভায় রাতেই দখল হয়ে যায় অনেক কেন্দ্র। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় চট্টগ্রামের ১০টি পৌরসভায়। ভোটাররা সকাল সাতটা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অনেক নারী ভোটারও সকালেই চলে আসেন কেন্দ্রে। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। বিজিবি-পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে পৌরসভাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোন বড় ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের ১০ পৌরসভায় মেয়র পদে ৩৪, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পৌরসভা ১০টি হচ্ছে, মিরসরাই, বারইয়ারহাট, সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, রাউজান, রাংগুনিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া এবং বাঁশখালী।
জীবন মুছা/এসকেডি/পিআর