রূপগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- নাওড়া গ্রামের মৃত ফজুল মিয়ার ছেলে ইউসুফ মিয়া (৪০) ও ওমেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়া (৩৫)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত সুবহান (২৮), জায়েদা খাতুন (৩০), নুরজাহানকে (৩২) মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল, শটগান, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি জোসনা আক্তারের বাড়িতে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। তাদের হামলায় নারী ও শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পাঁচটি বসতঘর, চারটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের কার্যালয় ভস্মীভূত হয়।
কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে পরাজিত হয়ে রফিকুল ইসলামের ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ও তার সমর্থক জসিম উদ্দিন জসু ও আলেক মিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আমির হামজা বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান পরাজিত হওয়ায় তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা একের পর এক নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাহেদ আলী বলেন, নির্বাচনের পরদিন থেকে নাওড়া এলাকার নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে একের পর এক হামলা-লুটপাট চালানো হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এআরএ