দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত
সবুজ ঘাসের গাল বেয়ে শীত নামছে। ভোরে সূর্যের আলো মাখামাখি করে মুগ্ধকর আবেশ তৈরি করছে বিন্দু বিন্দু শিশির। সতেজ পরিবেশ, কুয়াশামাখা চারপাশ ভিন্ন অনুভূতি তৈরি করছে। মাকড়সার জালে আটকা শিশির একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে যেন প্রকৃতির কাছে টানছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশঝাড় বা গাছের আড়াল থেকে ভোরের সূর্য হালকা লালচে রঙে দিচ্ছে ঝিলিক। গ্রীষ্ম ও শীতের মধ্যে হেমন্ত যেন অপরূপ এক সেতুবন্ধন। কার্তিকের মাঝামাঝি সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা ধুসর কুয়াশা। উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় শীত কড়া নাড়ছে দুয়ারে। মাঠে-প্রান্তরে ভোরবেলা শিশির মাখা ধানের ডগা জানান দিচ্ছে ফসলের সম্ভাবনার বার্তা।
লেখক ও সাংবাদিক এসএম আবু সাঈদ জানান, হালকা শীত উপলব্ধি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চল জুড়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত মানেই উৎসব। শীতের সঙ্গে মিশে আছে শত শত কবিতার প্রাণ। শীত মানেই কবির কবিতা।
প্রবীণ নাট্যকার ও সাংবাদিক অমিতাভ দাশ হিমুন জানান, পিঠা ও জামাই মেলা নিয়ে আসে শীত। শীত না এলে কবিতা পূর্ণতা পায় না। তাই কবিতায় মিশে আছে শীতের শত ভাবনা। শীত শিরশির করে দরজায় কড়া নাড়ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষি গবেষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, ভোরে দূর্বা ঘাসে শিশির দেখা। ফসলের ক্ষেত ভোরের কুয়াশায় ঢেকে যায়। আবহাওয়া আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন শীত ভাদ্রের মাঝেই উপলব্ধি হচ্ছে।
বগুড়া আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইন জানান, হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা কম বা বেশি হওয়ার বিষয়টি আরও মাস খানেক পরে নির্ণয় করা যাবে।
আরএইচ/জেআইএম