কক্সবাজারে ১২০ বস্তা চালসহ ট্রাক জব্দ
কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদাম থেকে অবৈধভাবে পাচারকালে ১২০ বস্তা চাল বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর (২৩ ডিসেম্বর) ১২টার দিকে শহরের আলির জাহালস্থ মেসার্স আমির হামজা রাইস এজেন্সি থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খোরশেদ আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের আলির জাহালস্থ একটি চালের এজেন্সিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে এজেন্সির মালিকের ছেলে সরওয়ার, চাল পাচার সিন্ডিকেটের হোতা সাগরসহ বেশ কয়েকজন বাঁধা দেন। পরে সরকারি চাউল মজুদের পক্ষে কোনো ধরনের সঠিক তথ্য প্রমাণ দেখাতে না পারায় ১২০ বস্তা চালসহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে চাল পাচারের অভিযোগে তাজরেজা ফ্লাওয়ার মিলস এর মালিক আব্দুস সোবহান, কর্মচারী সাগর, মেসার্স আমির হামজা রাইস এজেন্সির মালিক আমির হামজা ও তার ছেলে সরওয়ারসহ চালগুলো পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই চালগুলো আনসার ভিডিপির রেশনের চাল উল্লেখ করে পাচার করা হচ্ছিল। পরে আনসার ভিডিপির সদর উপজেলা কর্মকর্তা গাজী রফিক উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চালগুলোর ব্যাপারে দেয়া তথ্য ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করেন।
আনসার ভিডিপির ওই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আনসারের নাম ব্যবহার করে সদর খাদ্য গোদাম কর্তৃপক্ষ চালগুলো পাচার করছিল। আনসারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আনসার কর্মকর্তা আসার আগে ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহ জামাল উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন কৌশলে চালগুলো রক্ষার চেষ্টা করেন।
এ সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব আনসারের রেশনের চাল। তারাই এই চাল বিক্রি করেছে। কিন্তু পরক্ষণে আনসার কর্মকর্তা উপস্থিত হলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে রামুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি চাল পাচারকালে ট্রাকসহ জব্দ হয়ে মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছিলেন সাগরসহ তার সিন্ডিকেট। কিন্তু খাদ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা তাদের রক্ষায় কোমর বেঁধে নামার কারণে পাচারকারীরা নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যায়।
সায়ীদ আলমগীর/এসএস/আরআইপি