ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কারাগারে কিশোর প্রেমিক, বিয়ের দাবিতে অনশনে কিশোরী

জেলা প্রতিনিধি | ময়মনসিংহ | প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২১

ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে হাত ধরে বাড়ি ছাড়ে কিশোর-কিশোরী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে কিশোর প্রেমিককে কারাগারে আর কিশোরীকে বাবা-মায়ের জিম্মায় পাঠানো হয়। এর কয়েক দিন পর থেকে ওই কিশোরী বিয়ের দাবিতে কারাগারে থাকা কিশোরের বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন।

গত সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেল থেকে উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে কারাগারে থাকা প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন কিশোরী প্রেমিকা। এ ঘটনায় ওই কিশোরের বাবা নিরাপত্তার জন্য বুধবার (১৩ অক্টোবর) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার এক কিশোরের (১৮) সঙ্গে একই এলাকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ৬ আগস্ট পালিয়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে কিশোরীর পরিবার। পরে গত ২৩ আগস্ট কিশোরীর পরিবার কিশোর, তাঁর স্বজন ও বন্ধুদের অভিযুক্ত করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২০ দিন পর পলাতক কিশোর-কিশোরীকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় এবং অভিযুক্ত কিশোরকে কারাগারে পাঠান আদালত। কিন্তু এ ঘটনার কয়েক দিন পর গত ১১ অক্টোবর থেকে কিশোরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে ওই কিশোরী।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বাদল মিয়া জাগো নিউজকে জানান, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরী বিয়ের দাবি নিয়ে এখনো কারাগারে থাকা ওই কিশোরের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। ছেলের বাবা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ওই কিশোরী পুলিশের সঙ্গে যায়নি। এদিকে কিশোরীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মেয়েকে তারা নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই কিশোরী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বলে জেনেছি। বুধবার ছেলের বাবা এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই কিশোরী বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর অপহরণ মামলার পর আমরা তাদের উদ্ধার করে আদালতে দিয়েছি। আদালত ওই কিশোরীকে তার মা-বাবার জিম্মায় দিয়েছে। এখন ওই কিশোরী কোথায় গেলো সেটা তার বাবা-মায়ের বিষয়।’

মঞ্জুরুল ইসলাম/ এফআরএম/জিকেএস