ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদারীপুরে ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ৫ ট্রলার জব্দ

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১

মাদারীপুরে পদ্মা নদীতে প্রশাসনের যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিবচরের কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, বন্দরখোলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

মাদারীপুরে ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ৫ ট্রলার জব্দ

শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ মোল্লা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া শিবচর পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবু রিপন ওঝা, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন, শিবচর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াছ পাশা ও সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান খানসহ র‌্যাব, কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।

মাদারীপুরে ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ৫ ট্রলার জব্দ

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, জেলেরা পদ্মায় মাছ ধরে সেই মাছ গভীর কাশবনে অস্থায়ী হাট বসিয়ে বিক্রি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ইলিশ রক্ষায় আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৫৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩৬ জনের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকিদের অর্থদণ্ড করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মাদারীপুরে ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, ৫ ট্রলার জব্দ

স্থানীয়রা জানান, এই সময়ে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে দেশে ইলিশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আগামী দিনে কম মূল্যে মাছ কিনতে পাওয়া যাবে। তাই এ সময় অবৈধভাবে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ না ধরার জন্য জেলেদের অনুরোধ জানান তারা। পাশাপাশি স্থানীয় জেলেদের জাল পুড়িয়ে দেওয়ায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান।

এ কে এম নাসিরুল হক/এফআরএম/জেআইএম